নোবিপ্রবির ১৬ ছাত্রকে ছয় মাস বহিষ্কার

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় শিক্ষকের ওপর হামলা ও হল ভাঙচুরের ঘটনায় ১৬ ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া একই ঘটনায় আরও ১২ জনকে আর্থিক জরিমানা এবং ৯ জনকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্যরা এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের পুরোটাই রিজেন্ট বোর্ড অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তী সময়ে রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কাল সোমবার বিস্তারিত জানানো হবে। রেজিস্ট্রার জানান, আজ বেলা ১১টায় উপাচার্যের দপ্তরে রিজেন্ট বোর্ডের বিশেষ ওই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মো. দিদার উল আলম। বৈঠকে বোর্ডের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। বেলা দুইটায় বৈঠক শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, শাস্তি পাওয়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচিত। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ বছরের জন্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলেও ২০১৭ সালে একটি কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কাগজে-কলমে ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও সেটিই এখনো ক্যাম্পাসে সক্রিয় আছে।

প্রসঙ্গত, হলের সিনিয়র ছাত্রের সামনে এক জুনিয়র ছাত্রের ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে গত ৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষ চলাকালে হলের অনেক কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের পর থেকেই হলটি বন্ধ রয়েছে।