মওদুদের দেওয়া কমিটি নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের দেওয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। ছবিটি আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ রোড থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের দেওয়া উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। ছবিটি আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ রোড থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের ব্যক্তিগত প্যাডে দেওয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েকটি নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার দলের কয়েক শ নেতা-কর্মী বসুরহাট পৌর শহরে এ কর্মসূচি পালন করেন।

সরকারি মুজিব কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে মওদুদ আহমদ স্বাক্ষরিত সব কটি কমিটি অবিলম্বে বাতিল করে তৃণমূলের মতামত নিয়ে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় যেসব ইউনিটে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে ওই সব ইউনিটে পাল্টা কমিটি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ তাঁর ব্যক্তিগত প্যাডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রদলের আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। তবে নতুন এই কমিটি নিয়ে বিদায়ী কমিটির কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি।

ঘোষিত কমিটিতে উপজেলা বিএনপির নতুন সভাপতি করা হয় কামাল উদ্দিন চৌধুরীকে। আর সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদুর রহমান রিপন। তাঁরা দুজনই ইতিপূর্বে বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন। অপরদিকে বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি করা হয়েছে আবদুল মতিন ওরফে লিটনকে। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। নতুন কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হলে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদবঞ্চিত অংশে অসন্তোষ দেখা দেয়। যার জের ধরে আজ তাঁরা বসুরহাট শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাহাদাত হোসেন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান ওরফে টিপুসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মওদুদ আহমদ তাঁর নিজের প্যাডে কয়েকটি কমিটি পাঠিয়ে দিয়েছেন, যার বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কেউ জানেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির সাক্ষর ছাড়া নতুন কমিটি অনুমোদন পায় না। জেলা কমিটিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। ফলে কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি (মওদুদ আহমদ) দলের জ্যেষ্ঠ নেতা। উনি গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের সুপারিশ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সরাসরি এভাবে নিজের প্যাডে কমিটি দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা নতুন ওই কমিটি সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।’

নতুন কমিটি নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ ও বিক্ষোভ-সমাবেশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’