পরীক্ষায় নকল সরবরাহ: অর্থদণ্ড, ৩ শিক্ষককে বহিষ্কার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চলমান জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে নকল সরবরাহ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে যুক্ত থাকার দায়ে আজ বুধবার দুই জেলায় তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা দুটি হলো কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর:

কুমিল্লা: বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীকে নকল দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও বহিষ্কার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আল আমিন কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ এই সাজা দেন।

সাজা পাওয়া শিক্ষকের নাম আবু মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি চান্দিনা উপজেলার সাতগাঁত্ত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। অন্যদিকে যে পরীক্ষার্থীকে নকল দিয়েছিলেন, তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ইউএনও স্নেহাশীষ দাশ বলেন, আজ সকালে পরীক্ষা শুরুর পর আল আমিন মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময়ে একটি কক্ষে গিয়ে দেখেন, এক শিক্ষক ছাত্রকে নকল দিচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তাঁকে পরীক্ষা কক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষক আবু মোহাম্মদ ফিরোজ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

চট্টগ্রাম: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মো. ইকরাম খান ও মো. তারেক হোসেন। তাঁরা দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আজ সকালে জেএসসি পরীক্ষা চলাকালীন ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান তাঁদের বহিষ্কার করেন।

ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রের একটি কক্ষে এক শিক্ষক বিজ্ঞান বিষয়ের গাইড দেখে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। অন্যজন সহায়তা করছিলেন। তাঁদের একজনের কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায়। তাঁদের এই অনৈতিক কাজের জন্য দুজনকে আজীবন পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।