সেনবাগে কুকুরের কামড়ে আহত ১৭, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ভ্যাকসিন

নোয়াখালীর সেনবাগে একটি কুকুরের কামড়ে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিরুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উপজেলা পর্যায়ে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিয়ে সংকটে পড়েছে পরিবারগুলো।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকাল ৭টা থেকে শুরু করে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটি কুকুর পর্যায়ক্রমে জিরুয়া গ্রামের কয়েকটি বাড়ির ১৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু এবং দুই পথচারীকে কামড় দেয়।

জিরুয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, কুকুরের কামড়ে একের পর নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হলেও ভয়ে কেউ কুকুরটির সামনে যাওয়ার সাহস পাননি। দুপুরের পর কুকুরটিকে আর ওই এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও সেখানে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন না পাওয়ায় তা উচ্চ মূল্যে বাজার থেকে কিনতে গিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে আক্রান্ত পরিবারগুলো।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম আজম প্রথম আলোকে বলেন, কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন জেলা সদর হাসপাতালে সরবরাহ থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে তা থাকে না। অথচ কুকুরের কামড়ের ঘটনাগুলো গ্রাম পর্যায়ে বেশি ঘটে থাকে।

চিকিৎসক গোলাম আজম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জিরুয়া এলাকা থেকে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ১০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে হাসপাতালে সরকারিভাবে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে তা বাজার থেকে কিনে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমানকে সন্ধ্যায় একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে কুকুরের কামড়ের প্রতিটি ভ্যাকসিন ৬০০ টাকা করে বিক্রি হয়। সে হিসাবে একজন রোগীকে পাঁচটি করে ভ্যাকসিন দিতে কমপক্ষে তিন হাজার টাকা খরচ করতে হবে।