ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলটি চান্দুপুর ইউনিয়নের মণ্ডলভোগ এলাকায় ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথের অবৈধ ক্রসিং। ফলে ছিল না গেটম্যান। আর আরোহীর কানে ছিল মোবাইল। চালকও থামেননি। চালিয়েছিলেন দ্রুত গতিতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে দুইটায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার মির্জাপুর শহীদ আলাউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হামিদ (৫০) ও কটিয়াদীর এগারসিন্ধুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামের বোরহান উদ্দিন (৩৫)।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ভাড়ার মোটরসাইকেলে করে পাকুন্দিয়া থেকে মণ্ডলভোগ এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন হামিদ। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন বোরহান। বেলা সোয়া একটার দিকে মণ্ডলভোগ এলাকায় রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর এগারসিন্ধু এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, মণ্ডলভোগ এলাকায় একটি রেলক্রসিং থাকলেও সেখানে কোনো গেটম্যান নেই। একই সঙ্গে ট্রেন ও মোটরসাইকেল আসতে দেখে স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেল আরোহীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু আরোহী তখন মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। আর চালক দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল টান দেয়।

চান্দুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আরোহী হামিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর চালক বোরহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এই রেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। কোনো গেটম্যান না থাকায় নিজেদের সতর্ক থেকে পারাপার হতে হয়।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, এটি অবৈধ রেলক্রসিং। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।