দুবলার চর থেকে ১০ শিশু শ্রমিক উদ্ধার, আটক ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ১০ শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে দুবলার চরের মাঝেরকেল্লা থেকে ওই শিশুদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দুবলার চরে নিয়ে আসা এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

উদ্ধার শিশুরা হলো কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মৃত নুরউদ্দিন মিয়ার ছেলে রেণু মিয়া, মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মো. মানিক হোসেন, হোসেনপুরের মো. আবদুল মোতালেবের ছেলে মো. আক্তার, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মো. হৃদয়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মৃত কিতাব আলীর ছেলে মো. টুটুল মিয়া, তারাকান্দার মো. মোখলেসুর রহমানের ছেলে মো. রিমন, নোয়াখালীর সেনবাগের জালু মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার মো. আবদুল খালেকের ছেলে মো. আমির হোসেন, আবদুল মালেকের ছেলে মো. আরিফ ও কুষ্টিয়ার শেখপাড়া থানার কচির উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম অঞ্চলের (মোংলা সদর দপ্তর) গোয়েন্দা কর্মকর্তা লে. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নুরুল হক ওরফে লেদু মিয়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ শিশুকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে দুবলার চরে আটকে রেখে শিশুশ্রমে বাধ্য করছিলেন। এই শিশুদের চার মাসের মধ্যে লোকালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো না। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারত না। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় কোস্টগার্ডের দুবলার চর টহল দলের কাছে এক শিশু তাদের আটকে রাখার কথা জানায়। এরপর শুক্রবার রাতে কোস্টগার্ড সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ শিশুকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত শিশুরা সেখানে শুঁটকি তৈরির কাজ করছিল। এ সময় লেদু মিয়াকে আটক করা হয়।

আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আটক ব্যক্তি ও উদ্ধার করা শিশুদের আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।