'ক্যাসিনোর লোকসান মেটাতেই পেঁয়াজের সিন্ডিকেট'

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম। ছবি: প্রথম আলো
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম। ছবি: প্রথম আলো

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার দায় স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম আয়োজিত সমাবেশে এই দাবিসহ আরও কয়েকটি দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আজ রোববার এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দুই দিন আগে থেকে বাড়তে শুরু করেছে চালের দামও।’

জসিম উদ্দিন দাবি করেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যে লোকসান হয়েছে, তা মিটিয়ে নেওয়ার জন্যই সিন্ডিকেট বানিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘দেশে কৃষক লীগ কিংবা কৃষক দল আছে। আরও নানা সংগঠন আছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতির পরও তাদের মাঠে দেখছি না। তাদের কাজ কি শুধু কোনো নেতা জেলে গেলে তার মুক্তির জন্য মাঠে নামা?’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক শোয়েব করিম, আবদুল কায়ুম, তানজীদ সোহরাব, নাসির উদ্দিন, মুনতাসীর মাহমুদ, আরিফুল হক, তৌহিদুল ইসলাম ও আমির জুয়েল। তাঁরা বলেন, পেঁয়াজ ও চালের দাম কমানোটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়, এটা বাঁচা-মরার দাবি। ২০-২৫ টাকার পেঁয়াজ এখন ৩০০ টাকা। সরকার বলেছিল কম দামে চাল দেবে। কিন্তু ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল বাজারে মিলছে না। বক্তাদের আরও তিনটি দাবি হলো পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, কৃষিভিত্তিক উৎপাদন এবং খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রি বৃদ্ধি করা।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জামালখান মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।