ধর্ষণের মামলায় ৩ কিশোর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দক্ষিণখানে স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিন কিশোরকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।

তিন কিশোরের বয়সই ১৫ বছর। ওই কিশোরী আর তিন কিশোর একই কোচিং সেন্টারে পড়ে।

গত শুক্রবার ওই কিশোরীর মা মামলাটি করেন ।

মামলার এজাহার ও আদালতে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২৯ অক্টোবর ওই কিশোরী দক্ষিণখান এলাকার একটা কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। রাত ৯টার দিকে সে বাসায় ফিরে কোনো কথা না বলে কাঁদতে থাকে। কাউকে দেখলে ভয় পায়। তার মা এমন আচরণের কথা জানতে চাইলে সে আরও কাঁদতে থাকে। রাতে তার জ্বর আসে। ওই কিশোরীর এমন আচরণের পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অস্বাভাবিক আচরণ আরও বেড়ে গেলে তাকে গত ১১ নভেম্বর প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। গত ১১ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ওই কিশোরী ওসিসিতে চিকিৎসা নেয়।

কিশোরীর মায়ের অভিযোগের পর তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ। গতকাল তাদের ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে তাদের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক শফিকুল গনি ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, ঘটনার দিন কোচিং সেন্টারে ওই কিশোরী বিকেল ৪টায় যায়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ওই কিশোরীকে ছাদে নিয়ে যায় এক কিশোর। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। এই কথা সে কোচিং সেন্টারের অপর দুজন কিশোরকে জানালে তারাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। মামলার পর ওই তিন কিশোরকে তিনি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তবে ওই তিন কিশোর আর ওই কিশোরী পূর্বপরিচিত।