জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর উদ্যাপন করল সেভ দ্য চিলড্রেন

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

শিশুবান্ধব নানা প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা পর্বের মাধ্যমে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ।

রোববার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদগুলো নিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে একটি শিশুবান্ধব পোস্টার প্রকাশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। এর উদ্বোধন করে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন বই বিতরণ, ব্রেইলপদ্ধতির বই প্রকাশ ইত্যাদি নানা উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে বর্ণিত সব অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় তা অর্জিত হবে বলে আশা করছি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ, শিক্ষা, খেলাধুলার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স ও চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুস্বাক্ষর করার পর এখন পর্যন্ত শিশু অধিকার বাস্তবায়নে আমাদের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

অক্টোবর মাসে সারা দেশের শিশুদের অংশগ্রহণে একটি সেলফি ভিডিও প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সেভ দ্য চিলড্রেন। ‘আমার দেশ আমার দায়িত্ব’ শীর্ষক এই আয়োজনে শিশুরা তাদের ধারণকৃত সেলফি ভিডিওতে জানায়, কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তারা। এবং সে লক্ষ্য পূরণে তারা কী দায়িত্ব পালন করবে। বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করবে বলে অঙ্গীকার জানায় শিশুরা। বিজ্ঞপ্তি