ব্যবসায়ী পরিবারের ৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে একটি ব্যবসায়ী পরিবারের তিন সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সংস্থার উপপরিচালক সামছুল আলম ওই তিনজনের বিদেশযাত্রা রহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন আল ফারুক গ্রুপের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, তাঁর ছেলে ও গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদোয়ানুল কবির চৌধুরী এবং রেদোয়ানুল কবিরের স্ত্রী ও গ্রুপের পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের ৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের একটি অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট এই তিনজন সপরিবার দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এই তিনজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানায়, ফারমার্স ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে আল ফারুক ব্যাগসের অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়। ব্যাংকটির মতিঝিল শাখা থেকে আল ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের অনুকূলে জরুরি প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে সাড়ে চার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে ওই অর্থ আদায় না হওয়া সত্ত্বেও সীমাতিরিক্ত আরও ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এর মাত্র এক মাস পর অন্য ব্যাংকের ঋণ অধিগ্রহণের নামে ২০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৩৬ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। অধিগ্রহণ করা ঋণের অর্থ পরিশোধ না করেই গ্রাহককে এই অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ঋণসুবিধা বাড়িয়ে ১০ গুণ করা হলেও ঋণ হিসাবের বিপরীতে লেনদেন বা আদায় মোটেও সন্তোষজনক নয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির কাছে বর্তমানে ব্যাংকের পাওনা ৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।