কুষ্টিয়ায় পাঁচ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ

যান চলাচল বন্ধ থাকায় ৫ দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কুষ্টিয়ার মানুষ। বুধবার সকালে মজমপুর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: তৌহিদী হাসান
যান চলাচল বন্ধ থাকায় ৫ দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কুষ্টিয়ার মানুষ। বুধবার সকালে মজমপুর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া বাস ধর্মঘটের চার দিন পর আজ বুধবার সকাল থেকে বাস চালানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বাসমালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। সে আশ্বাসের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছু বিড়ম্বনা। আজ সকাল থেকে দূরপাল্লার ঢাকাগামী বাসও বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়েছে ট্রাক চলাচলও।

এতে পাঁচ দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কুষ্টিয়ার মানুষ।

এ ব্যাপারে জানতে সকালে কয়েক দফায় বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের চারজন নেতার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ ফোন ধরেননি।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন তাঁর কার্যালয়ে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভায় বাসমালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, জনগণকে জিম্মি করে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া ঠিক না। এরপর শ্রমিক পক্ষ বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেন। এরপরও সকাল থেকে বাস চলেনি। বরং দূরপাল্লার বাস, ট্রাক,মাইক্রোবাস রেন্ট এ কারসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সকালে মজমপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ ঝুঁকি নিয়ে ইজিবাইক বা নসিমন-করিমন জাতীয় অবৈধ যানে যাচ্ছেন। ঢাকা যাওয়ার জন্য মজমপুর এলাকায় দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করেছেন অনেক যাত্রী। তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা যেতে পারেননি।

এসবি পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এসআই সোহেল। তিনি পাখি পর্যবেক্ষক। কাল বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা। সকালে ঢাকা যাবেন বলে কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন বাস বন্ধ। তাঁর মতো দুর্ভোগে পড়েছেন আরও অনেকেই।

কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হকসহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, আশ্বাস দেওয়ার পর কেন যে এমন কাজ করল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।