পটুয়াখালীতে সকাল থেকে বাস ধর্মঘট

পটুয়াখালীতে বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ছবি: শংকর দাস
পটুয়াখালীতে বাস না পেয়ে ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ছবি: শংকর দাস

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পটুয়াখালীতে আজ বুধবার ভোর থেকে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সকালে দূরদূরান্তের যাত্রীরা বাস টার্মিনালে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ধর্মঘটের ফলে জেলার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ। গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তাদের বিকল্প বিভিন্ন যানে যেতে হচ্ছে। এই সুযোগে ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় যান মহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের মালিকেরা কয়েক গুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এসব যানে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে।

পটুয়াখালীর বাসমালিক রিয়াজ উদ্দিন মৃধা জানান, বাসচালক ও শ্রমিকেরা নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি সংশোধনের দাবিতে পটুয়াখালীর সব সড়কপথে বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেছেন।

ভোরে পটুয়াখালীর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা তাদের তল্পিতল্পা নিয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে। বাস কাউন্টারের পাশে শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন শিউলী বেগম। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জে। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে পটুয়াখালীতে এসেছেন। এখন বাস টার্মিনালে পৌঁছে যানবাহন না পেয়ে আটকা পড়েছেন। হঠাৎ বাস ধর্মঘটের কারণে তাঁর মতো অন্য যাত্রীরাও পড়েছে বিপাকে।

বাস ধর্মঘটের ফলে সাধারণ যাত্রীদের বিকল্প যান হিসেবে ভাড়ায় মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশায় গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।

ভোরে বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালে বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ করে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। বাসচালক ও শ্রমিকেরা বিভিন্ন জায়গায় জটলা করে দাঁড়িয়ে। তাঁদের ভাষ্য, তাঁরা গরিব মানুষ। ৫ লাখ টাকা জরিমানা করলে তা কোত্থেকে দেবেন? ৫ বছরের জেল হলে তাঁদের পরিবার ভিক্ষা করবে। আইন সংশোধন না করলে তাঁরা বাস চালাবেন না বলে জানিয়েছেন।