পা-বেঁধে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ইউপি সদস্য আটক

পা বেঁধে ঝুলিয়ে তরুণকে নির্যাতনের দৃশ্য। ছবি ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে সংগৃহীত
পা বেঁধে ঝুলিয়ে তরুণকে নির্যাতনের দৃশ্য। ছবি ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে সংগৃহীত

পা- বেঁধে এক তরুণকে ঝুলিয়ে পেটানো হচ্ছে। এতে ওই তরুণ চিৎকার করছে। নির্যাতনের এমন একটি ভিডিও গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে। ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ।

পুলিশ বলছে, নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কানাইঘাট কারাবাল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম আবদুস ছালাম। তিনি জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

নির্যাতনের শিকার তরুণ একই ইউনিয়নের বরবন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নাম গিয়াস উদ্দিন। আবদুস ছালামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণের পা বেঁধে একটি বাঁশের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বাঁশ দুই ব্যক্তি কাঁধে নিয়ে একটি বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে মানুষের জটলা। এরই মধ্যে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পড়া এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে ওই তরুণের পায়ের নিচে আঘাত করছেন। এর ফলে ওই তরুণ চিৎকার করছেন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবদুন নাসের প্রথম আলোকে বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি প্রায় ১০ মাস আগের বলে জানা গেছে। তখন পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানত না। তবে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সিলেটের পুলিশ সুপারের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সহকারে দেখার জন্য বলেন। এরপর পরই পুলিশ নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে।

ওসি আবদুন নাসের জানান, এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবদুস ছালাম ছাড়াও এই ঘটনায় আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলকার নাইন লস্কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তরুণকে নির্যাতনের ঘটনা আমরা জানতাম না। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে গত বুধবার দেখার পর বিষয়টি জানতে পারি। ইউনিয়নে কেউ আমাদের অভিযোগও দেননি।’