বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠি, আহত ৬

বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়ার পর নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের অবস্থান। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টায়। ছবি: মাহবুবুর রহমান
বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়ার পর নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের অবস্থান। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টায়। ছবি: মাহবুবুর রহমান

নোয়াখালীতে পুলিশের বাধা ও লাঠিপেটায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মসূচি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে পুলিশের বাধা ও লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির কমপক্ষে ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ সময় পুলিশ বিএনপির কয়েকজন কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ছিল নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে। বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কর্মসূচি উপলক্ষে আগেই জেলা শহরে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল-নোমান।

সূত্র জানায়, কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। কর্মসূচিস্থল ও আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন হল মোড় এবং পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে বিএনপির দুটি মিছিল কর্মসূচিস্থলে আসার পথে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির কর্মীরা স্লোগান বন্ধ করে প্রেসক্লাবের চত্বরে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, একপর্যায়ে পুলিশ প্রেসক্লাব চত্বরে ঢুকে সেখানে থাকা বিএনপির কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এরপর টাউন হল মোড় হয়ে আরও একটি মিছিল প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েকজনকে আটক করে। এসব ঘটনায় বিএনপির কর্মসূচিটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে দলীয় নেতারা প্রেসক্লাব চত্বর ত্যাগ করেন।

জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। তাই তাঁদের প্রেসক্লাব চত্বরে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।

আটকের ব্যাপারে ওসি নবীর হোসেন বলেন, আটকের সংখ্যা তাঁর জানা নেই। আটকের জন্য অভিযান চলছে।

তবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। লাঠিপেটা করে কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা এ ঘটনার নিন্দা জানান।