এক মাসেও খোঁজ মেলেনি ছিনতাই হওয়া শিশুটির

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে বাক্প্রতিবন্ধী মায়ের কোল থেকে ছিনতাই হওয়া আড়াই বছর বয়সী শিশু রোহামণির এক মাসেও খোঁজ মেলেনি। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ শিশুটির কোনো সন্ধান পায়নি। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।

শিশু রোহামণি বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের বোয়লজানা গ্রামের জামাল উদ্দিন ও উষাবানু দম্পতির কন্যা। গত ২৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে শহরের জয়নগর এলাকায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে মায়ের কোল থেকে শিশুটি ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন।

শিশুটির পরিবার, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুয়ালজানা গ্রামের জামাল উদ্দিন অসুস্থ হয়ে গত ২১ অক্টোবর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এর দুদিন পর সকালের দিকে তাঁর স্ত্রী উষাবানু আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে জামালকে দেখতে আসেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতিদিনের মতো রোগীদের দেখতে পরিদর্শনে এলে রোগীদের স্বজনদের বের করে দেওয়া হয়। এ সময় জামালের স্ত্রী রোহামণিকে নিয়ে দরজার পাশে অবস্থান করেন। তখন অপরিচিত এক নারী তাঁর স্ত্রীর কোল থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪ অক্টোবর সদর উপজেলার বড়গাড়া এলাকার মো. আবদুল লতিফের স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে (৫৫) পুলিশ আটক করে। পরে আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ঘটনার এক মাস এক দিন চলে গেলেও রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আয়েশা আক্তার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি শিশুটিকে কোথায় রেখেছেন, তা সঠিকভাবে বলছেন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছেন। তবে আশা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।