ট্রাকের চাপে বেহাল গ্রামীণ সড়ক

বগুড়ার শেরপুরে মাটিবাহী ভারী ট্রাকের চাপে ধসে পড়ছে পাকা গ্রামীণ সড়ক। ছবিটি উপজেলার খামারকান্দি এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা।  প্রথম আলো
বগুড়ার শেরপুরে মাটিবাহী ভারী ট্রাকের চাপে ধসে পড়ছে পাকা গ্রামীণ সড়ক। ছবিটি উপজেলার খামারকান্দি এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা। প্রথম আলো

মাটিবাহী ট্রাকের চাপে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উলিপুর-ঝাঁজর সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ এ সড়কটি ট্রাক চলাচলের উপযুক্ত নয়। কিন্তু গত কয়েক দিন মাটিবাহী ভারী ট্রাক চলায় সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। গত অর্থবছরে সড়কটি মেরামত করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, খামারকান্দি ইউনিয়নের বড়বিলা এলাকায় একটি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাকে করে তা সড়কের ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। কয়েক দিন ধরে চলছে এই ট্রাক। গ্রামবাসী সড়কটি রক্ষায় বাধা দিলেও ট্রাক চালকেরা তা মানেননি।

খামারকান্দি গ্রামের ফজলুল হক বলেন, গত বছর এ সড়কটি মেরামত করে এলজিইডি। এখন মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি ধসে যেতে বসেছে। চালকেরা জোর করেই সড়কের ওপর দিয়ে মাটিবাহী ভারী ট্রাক নিয়ে যাচ্ছে। সড়কটি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলজিইডির কেউ সড়কটি রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। এই সড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ছোট যানবাহনে করে কয়েকটি গ্রামের অন্তত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপজেলা শহরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।

উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব প্রথম আলোকে বলেন, ভারী ট্রাকের চাপে সড়কের দুই পাশ থেকে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ধসেও পড়ছে। তিনি বিষয়টি এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবু মাটিবাহী ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়নি।

এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে ১০ ফুট প্রশস্তের ওই সড়কের সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৮৪ লাখ টাকা। কোনো সড়ক মেরামতের তিন বছরের মধ্যে নতুন করে আবারও মেরামতের কোনো সুযোগ নেই। ধুনট উপজেলায় যেতে মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করে।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্থানীয় একটি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে বড়বিলা থেকে খামারকান্দি বাজার পর্যন্ত অন্তত এক কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকাসহ সড়কের অবকাঠামো ধসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে তিনটি স্থানে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। সড়কটি রক্ষার বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।