আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনবেন খালেদার জামিন শুনানি

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই দিন ঠিক করেন।

আপিল বিভাগ বলেছেন, আগামী বৃহস্পতিবার সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করবেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জামিন আবেদনের ওপর আজ আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদনের শুনানির সময় আপিল বিভাগ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই শুনানি গ্রহণ করবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে জয়নুল আবেদিন ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন। গত ১৪ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন তার আইনজীবীরা। গত ১৭ নভেম্বর জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হলে তা চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

বিচারিক আদালতের দেওয়া ওই সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া। এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়।

বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন।