ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন কনস্টেবল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। আটকের সময় তাঁর কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আটক ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম আবুল বাশার।

বাশার মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের ঢাকা রোড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকেও আটক করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রহিম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের ঢাকা রোড এলাকার ঈগল হোটেলের সামনে মাদকের একটি চালান লেনদেন হবে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ইয়াবা লেনদেনের সময় বাশার ও রাজীব হোসেন নামের দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়।

এই পরিদর্শক আরও বলেন, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে তাদের একজন আবুল বাশার পুলিশের কনস্টেবল। তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বড়দিয়া গ্রামে। তাঁর সহযোগী রাজীব হোসেন একই উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজীব হোসেন একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁর নামে একাধিক মাদক মামলা আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব জানিয়েছেন, এর আগেও পুলিশ সদস্য আবুল বাশারকে মাদক বিক্রিতে সহায়তা করেছেন তিনি।

এ ঘটনায় গতকাল রাতেই মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় পুলিশ সদস্য আবুল বাশার ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলাটি তদন্ত করবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার হোসেন।

মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক ওই পুলিশ সদস্য ১০ মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরায় এসেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থাতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত ও শাস্তি হয়েছে। আর ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তাঁর নামে থানায় মামলা হয়েছে। এখন তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। আর তদন্ত ও বিচার শেষে দোষী প্রমাণিত হলে হয়তো তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’