রায়ে সন্তুষ্ট এসি রবিউলের ভাই

হোলি আর্টিজান হামলায় নিহত সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল করিমের ভাই শামসুজ্জামান শামস বলেছেন, তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট। আশা করছেন, দ্রুত এই রায় কার্যকর হবে। আজ বুধবার ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পর ওই ঘটনায় নিহত রবিউল করিমের ভাই শামসুজ্জামান শামস প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যে জিরো টলারেন্স, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। দেশবাসীর মতো আমরাও এই রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। রবিউল করিমের পরিবারের বিষয়ে তিনি বলেন, ভাইয়ের স্ত্রী চাকরি করছেন। বাচ্চারা বড় হচ্ছে। এমনিতে ওরা ভালো আছে।

আজ রায়ে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

রবিউল করিমের ভাই শামসুজ্জামান শামস।
রবিউল করিমের ভাই শামসুজ্জামান শামস।

আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন আসামি শরিফুল ইসলামের বাবা আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, আমি রাজশাহীর বাগমারা থেকে এসেছি। সাতজনের ফাঁসি হয়েছে শুনেছি। আমার ছেলেরও ফাঁসি হয়েছে। এই রায় সঠিক হয়নি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে। জঙ্গিরা হত্যা করেছিলেন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে; যাঁদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত এক বছরে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করেছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজন, হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত পুলিশ, হোলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, জিম্মি হয়ে পড়া অতিথি এবং যেসব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে নৃশংস এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেসব বাড়ির মালিকেরা।