প্রবাসে সমস্যার শিকার ১ শতাংশ নারী কর্মী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

প্রবাসে কর্মরত নারীদের মধ্যে ১ শতাংশ নির্যাতন ও সমস্যার শিকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আজ বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সংসদীয় কমিটি সৌদি আরবে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় বের করতে বলেছে।

বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে নারী গৃহকর্মী নিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি নারী কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে আছেন আড়াই লাখ। মোট নারী কর্মীর ১ শতাংশ নির্যাতনসহ সমস্যার শিকার। যেসব নারী গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োজিত, তাঁদের মধ্যে সমস্যা বেশি।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সৌদি আরবে যাঁরা গৃহকর্মীদের নির্যাতন করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, তা জানতে চায় সংসদীয় কমিটি। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নির্যাতনের অভিযোগে সৌদি আরবে একজন সৌদি নাগরিক কারাগারে আছেন। কিছু ক্ষেত্রে নারী কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়। যেমন নিয়ম ভঙ্গ করে ১৪ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নারীকেও বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে সংসদীয় কমিটিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে ১ শতাংশ নারী কর্মী সমস্যার সম্মুখীন। তবে কমিটি বলেছে, সংখ্যা যত কম হোক না কেন, নারী নির্যাতনের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পদ্ধতি বের করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। কে মামলা দায়ের করবে, তাঁরা তা ঠিক করবেন। নির্যাতনের শিকার নারীর পক্ষে মামলা করা সম্ভব নয়। বিদেশে মিশনের শ্রম উইং থেকে মামলা করার ব্যবস্থা করা যায়। আর দেশে যেসব এজেন্সি অনিয়ম করবে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছর ২৯ জন কর্মকর্তা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। এর পেছনে ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ বিষয় ফারুক খান বলেন, তাঁরা বলেছেন, যে বিষয়েই প্রশিক্ষণ হোক, তা যেন যথাযথ কাজে লাগে, সেটি দেখতে হবে।