বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আবদুল্লাহ আল নোমান নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টায় সোনাকুড়ের মেস থেকে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

নোমানের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।

নোমান বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। 


ওই মেসে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের তথ্যমতে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা নোমানের কক্ষ থেকে পানি বের হতে দেখেন। দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে নোমানকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও অন্য শিক্ষকেরা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নোমানের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, চর সোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে আবদুল্লাহ আল নোমানের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফ্যানের হুকের সঙ্গে তাঁর মৃতদেহ ঝুলছিল। একতলা একটি বাড়িতে মেস করে ১৫ জন ছাত্র থাকেন। নোমান ওই মেসের একটি কক্ষে একা থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, নোমান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, নোমানের মায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাঁর মা ছেলের মোবাইলে কল করেছিলেন। মা জানিয়েছেন, রাত ৯টার দিকে ছেলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় মলিকুলার বায়োলজি পরীক্ষার বিষয়ে ছেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। পরীক্ষার পর বাড়িতে যাবেন বলেও মাকে জানিয়েছিলেন নোমান।