বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম। ছবি: প্রথম আলো
বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মো. মনজুর আলম পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে দুদক বলেছে, টেন্ডারে অনিয়মের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয়, নিয়োগ বাণিজ্য, স্পন্সর নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাঁটিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে মাহবুব আনামের বিরুদ্ধে। দুদক এর অনুসন্ধান করছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছে, তিনি সপরিবারে বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁর বিদেশযাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাহবুবুল আনামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। ওই নোটিশে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার তথ্য মেলায় ওই নোটিশ দেওয়া হয়।

>

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক মো. মনজুর আলম পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মোট সাড়ে ৬২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। দুদকের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর আলম মাহবুবুল আনামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের অনুসন্ধানে মাহবুবুল আনামের ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ, ৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬২ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালে ওই সম্পদ অর্জনের গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় দুদক চিঠি দেয়।