সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে রায়ে সন্তোষ, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নুসরাতের পরিবারের

নুসরাত জাহান। ফাইল ছবি
নুসরাত জাহান। ফাইল ছবি

ফেনীর নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার মামলায় সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও একই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছে নুসরাতের পরিবার।

আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালত বিচার–বিশ্লেষণ করে এই রায় দিয়েছেন। এই রায় ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার সাহস পাবেন না। এই রায়ে আমার মেয়ের বিদেহী আত্মাও শান্তি পাবে।’

তবে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে নুসরাতের মা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।’ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের কাছে অনুরোধও জানান তিনি।

নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বোনের হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। এখন ওসি মোয়াজ্জেমেরও রায় হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই রায় প্রমাণ করে, অপরাধী যে–ই হোক না কেন, আইনের চোখে সবাই সমান। রায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যমসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে করা এই মামলার রায় দেন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক আহমেদ। গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত তা আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। এর ২০ দিনের মাথায় গত ১৬ জুন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।