ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো: পলাতক সোর্স গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার এএসআই রিয়াজুল, গ্রেপ্তার কনস্টেবল গোপাল সাহা, গ্রেপ্তার কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান, গ্রেপ্তার পুলিশের সোর্স হাসান মিয়া, পলাতক কনস্টেবল আবদুল হালিম, পলাতক কনস্টেবল তোজাম্মেল হক। ছবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে সখীপুর থানা-পুলিশ
গ্রেপ্তার এএসআই রিয়াজুল, গ্রেপ্তার কনস্টেবল গোপাল সাহা, গ্রেপ্তার কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান, গ্রেপ্তার পুলিশের সোর্স হাসান মিয়া, পলাতক কনস্টেবল আবদুল হালিম, পলাতক কনস্টেবল তোজাম্মেল হক। ছবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে সখীপুর থানা-পুলিশ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইয়াবা দিয়ে দিনমজুরকে আটকচেষ্টার মামলায় পুলিশের সোর্স আল আমিনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার বেলতৈল গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আল আমিন ওই গ্রামের আজাহারুল ইসলামের ছেলে। এ নিয়ে তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হলেন। এখনো পলাতক পুলিশের দুই কনস্টেবল আবদুল হালিম ও তোজাম্মেল হক।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দুই দিনের রিমান্ডে আছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা ও রাসেলুজ্জামান এবং পুলিশের সোর্স হাসান মিয়া। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল শুক্রবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত

গত বৃহস্পতিবার রাতে এই সাতজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলায় হয়। রিমান্ডে থাকা চার আসামিকে ওই দিন বিকেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন সখীপুরের হাতিবান্দা ইউনিয়নের হতেয়া এলাকার বাসিন্দারা। ওই ঘটনার সময় পলাতক দুই পুলিশ সদস্যসহ আজ গ্রেপ্তার হওয়া সোর্স সটকে পড়েছিলেন।

সখীপুর থানার এসআই ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, গ্রেপ্তার আল আমিনকে আগামীকাল রোববার রিমান্ডের আবেদন করে টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাদাপোশাকে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্স রাজাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় আসেন। তাঁরা এলাকার দিনমজুর মো. বজলুর রহমানের (২৬) পকেটে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে দেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁকে জোর করে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তোলেন। বজলুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন অটোরিকশাটি আটক করে। বজলুরের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উপস্থিত লোকজন পুলিশ সদস্য ও সোর্সদের তল্লাশি করে কিছু ইয়াবা পান। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ ও সোর্সদের পিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন। পরে তাঁরা সখীপুর থানার পুলিশে খবর দেন। এ সময় আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকা তিনজন (হালিম, তোজাম্মেল ও আল আমিন) পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আটক থাকা চারজনকে সোপর্দ করা হয়। এই চারজনকে প্রথমে মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ফাঁড়িতে এবং পরে সখীপুর থানায় নেওয়া হয়। ওই রাতেই তাঁদের আসামি করে সখীপুর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।