১৬ ডিসেম্বর থেকে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের চিন্তা

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে একাত্তরের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করতে চায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে। সে সঙ্গে আগামী বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় থানা, মহকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটিকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানায়। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে জানানো হয় চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯ জন, শরীয়তপুরে ৪৪ জন, বাগেরহাটে ১ জন ও নড়াইল থেকে ৫০ জন রাজাকারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনো বেতনভোগী রাজাকার ছিল না।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, রাজাকারদের তালিকা হাতে আসা শুরু হয়েছে। কয়েকটি জেলার তালিকা এসেছে তবে তা পূর্ণাঙ্গ নয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। ১০ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের বৈঠক আছে সেখানে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণ করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন।

শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম ও এ বি তাজুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।