কৃষি জমিতে ইটভাটা করায় চারজনকে দণ্ড

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বগুড়ায় কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ভাটা স্থাপন করে ইট পোড়ানোর দায়ে চারজনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া সুলতানা ও নাসরিন আকতার এ আদালত পরিচালনা করেন। বগুড়ার পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় এতে সার্বিক সহায়তা দেয়।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন গ্রিন ব্রিকস ইটভাটার রশিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, এমএবি এন্টারপ্রাইজ ইটভাটার প্রদীপ কুমার রায় ও মনোরঞ্জন কুমার।

বগুড়ার পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বলেন, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর এলাকায় আইন লঙ্ঘন করে কৃষি জমিতে ভাটা স্থাপন করা হয়। সেখানে গ্রিন ব্রিকস নামের ভাটায় সনাতন পদ্ধতিতে ইট পোড়ানো হচ্ছিল। বিকেল ৫টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে মালিককে না পেয়ে দুই কর্মচারীকে আটক করে। পরে ভাটা কর্তৃপক্ষকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আটক ব্যক্তিদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেন।

অন্যদিকে এমএবি এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি ভাটা কৃষিজমিতে স্থাপন করা হয়েছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটা কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আটক দুই কর্মচারীকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন। সন্ধ্যার মধ্যে দণ্ডিত দুই ভাটার মালিক জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করায় রোববার রাত ১০টার দিকে কর্মচারী চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, কৃষিজমিতে ভাটা স্থাপন এবং ইট পোড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ভাটা কর্তৃপক্ষকে প্রথমে অর্থদণ্ড এবং পরে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারাদণ্ড দিয়েছেন। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।