পাকুন্দিয়ায় সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

অনিয়ম, অসদাচরণ, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ও অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন।

এর আগে প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান ১০১ নম্বর চরপাকুন্দিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাননি। পরে বিদ্যালয়ে ইউএনও আসার খবর পেয়ে সাড়ে ১০টার দিকে অন্য বিদ্যালয়ের চার-পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে উপস্থিত হন শিক্ষকেরা। এ পরিস্থিতিতে ইউএনও তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমান ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই দিন একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠান।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, প্রধান শিক্ষক ছাড়াও একই অপরাধে বিদ্যালয়ের অন্য চার সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাঁদেরও যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এ নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোর অনলাইনে ‘স্কুল পরিদর্শনে ইউএনও, শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ নেই’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।