বাউফলে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় মো. জাহিদ (২২) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রতিপক্ষ পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাসপাড়া ল্যাংড়া মুন্সীর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জাহিদ কালাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ রাহাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জাহিদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। জাহিদ মেয়র জিয়াউলের পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।

জাহিদ অভিযোগ করেছেন, মেয়র জিয়াউল হকের পক্ষে গত সোমবার তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। এ কারণে সাংসদের পক্ষের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। আজ দুপুরে কালাইয়া বাজার থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি ল্যাংড়া মুন্সীর সেতু এলাকায় পৌঁছালে সাংসদের পক্ষের যুবলীগ কর্মী পঙ্কজ দাসের (৩৫) নেতৃত্বে চার থেকে পাঁচজন তাঁর পথ রোধ করে পিটিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

জাহিদকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে পঙ্কজ দাস বলেন, ‘আমি তাঁকে ছাড়িয়ে দিয়েছি, মারিনি।’

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।