হাত তুলে বাল্যবিবাহকে 'না' বললেন তাঁরা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আজ বুধবার দুপুরে ধারাবর্ষা বাজারে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে নয়টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে হাত তুলে শপথ নেন।

উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়ন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ও আস্থা প্রকল্পের স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘নারী-পুরুষ সমতা, রুখতে পারে সহিংসতা’ প্রতিপাদ্যে শপথ নেন নারী-পুরুষেরা।

গণসমাবেশে বক্তব্য দেন সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান, কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও কামরাবাদ ইউনিয়ন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ আলী, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আস্থা প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাবিনা ইয়াসমিন, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, শাহা আলম, শিউলী আক্তার, এস এম ও মোস্তাইন বিল্লাহ, প্রভাষক নাজনীন সুলতানা, সহকারী শিক্ষক এ কে এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ওসি মাজেদুর রহমান নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নারী-পুরুষদের শপথবাক্য পাঠ করান। কামরাবাদ ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে হাত তুলে শপথ নেন।

ধারাবর্ষা গ্রামের হাজেরা বেগম (৫৫) জানান, দারিদ্র্যের জন্য তাঁদের গ্রামে বাল্যবিবাহ বেশি হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শপথ নিয়েছেন তাঁরা।

কান্দারপাড়া গ্রামের সালেহা বেগম জানান, ছেলেমেয়েদের বাল্যবিবাহ দেবেন না এবং পাড়া–প্রতিবেশী বোনদের বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছেন।

সৈয়দপুর গ্রামের ইতি খাতুন (৩৫) বলেন, ‘শিক্ষার আলো না থাকায় গ্রামে বাল্যবিবাহ বেশি হচ্ছে। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবারের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাই শপথ নিয়েছি।’