'বিএনপি নেতাদের চলনবিলের মাছ দিয়ে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন'

একই দিনে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দুবার অনুমোদন দিয়েছে জেলা বিএনপি। দলের অনেক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীকে কমিটিতে স্থান দিতে এমনটি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কমিটি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েই গেছে।

জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ স্বাক্ষরিত উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। প্রথমে উপজেলা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ও পৌর ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই কমিটি দুটি যথাক্রমে ৬৭ ও ৬১ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়। নতুন কমিটির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে সাক্ষর করে সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে নির্দেশও দেয় জেলা কমিটি। অথচ উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠনের সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের সাক্ষর নেওয়া হয়নি।

উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রকাশনা সম্পাদক আনিসুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একই ব্যক্তিকে উপজেলা ও পৌর উভয় কমিটিতে রাখা হয়েছে। আবার এক কমিটিতে একই ব্যক্তি একাধিকবারও আছেন। অথচ নির্যাতিত হওয়ার পরও তাঁর নামটি কোনো কমিটিতেই রাখা হয়নি।

সোহেল রানা নামে এক তৃণমূল নেতা অভিযোগ করে বলেন, কেউ কেউ জেলা বিএনপির নেতাদের চলনবিলের মাছ দিয়ে খুশি করে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহ্বায়ক কমিটির দুই সদস্য বলেন, নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে তাঁরা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু জেলার নেতাদের বিশেষ অনুরোধে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেননি। তবে সম্মানে আঘাত লাগলে তাঁরা পদত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক মজিবর রহমান বলেন, কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মীর নাম বাদ পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের (দুলু) সঙ্গে আলোচনা করে বঞ্চিতদের পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলী আজগর খান বলেন, দলে নেতার সংখ্যা বেশি। তাই আহ্বায়ক কমিটিতে হয়তো সবার নাম রাখা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, প্রথমে উপজেলা ও পৌর কমিটি ছোট করে করা হলেও দলের কল্যাণের স্বার্থে বড় করা হয়েছে। এরপরও কারও অভিযোগ থাকলে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।