কুলাউড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত ভাষাসৈনিক রওশন আরা

রওশন আরা বাচ্চু  (১৯৩২–২০১৯)
রওশন আরা বাচ্চু (১৯৩২–২০১৯)

ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চুকে বুধবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহরের উছলাপাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে স্থানীয় নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দাফনের আগে প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রওশন আরার কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার দাবি জানান স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে রওশন আরার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নবীন চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌঁছায়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জানাজা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ, সাবেক সাংসদ আবদুল মতিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওছার দস্তগীর, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি সভাপতি জয়নাল আবেদিন, রওশন আরার ছোট মেয়ে তানভীর ফারহানা ওয়াহিদ প্রমুখ।

তানভীর ফারহানা বলেন, তাঁর মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল ছোট ভাইয়ের কবরের পাশে কবর দেওয়া। সে কারণেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুর আগে রওশন আরা বলে গেছেন, বাড়ির পাশে তাঁদের জমিতে তাঁর নামে যেন মহিলা কলেজ স্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে তিনি মৃত্যুর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মায়ের ইচ্ছা পূরণে তানভীর ফারহানা সবার সহযোগিতা কামনা করেন।