ঝালকাঠিতে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাতে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভার মধ্য মালিপুর এলাকার দেওয়ান বাড়ির দরবার শরীফে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. সজল দেওয়ান (২৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, সজলের পরিবার শত বছরের পুরোনো মালিপুর দরবার শরীফ দেখাশোনা করে। বর্তমানে সজলের চাচা দেওয়ান আনোয়ার হোসেন এ দরবার শরীফের প্রধান খাদেম। সজল তাঁর চাচা আনোয়ার হোসেনকে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ৫ মাস জেল খেটে দুই মাস আগে জামিনে মুক্তি পান।

থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সজল তাঁদের ঘরের পাশে একটি জরাজীর্ণ কক্ষে থাকত। রাতের খাবার খেয়ে তিনি ওই কক্ষে ঘুমাতে যান। সকাল ৭টার দিকে তাঁর মা ঘুম থেকে জাগাতে গিয়ে দেখে সজল রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পরে আছেন। পাশেই একটি ধারালো দা। তাঁর চিৎকার শুনে স্বজনেরা এগিয়ে আসে। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।

সজলের বোন সুরাইয়া বেগম বলেন, সজল রাত ৯টার দিকে খাবার খেয়ে তাঁর কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। এ ঘটনায় তাঁরা পরিবারের কাউকে সন্দেহ করছেন না।

সজলের চাচা দেওয়ান আনোয়ার হোসেন বলেন, সজল তাঁকে অহেতুক কুপিয়ে আহত করে। তবে দরবার শরীফ নিয়ে সজলদের সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই। দরবার শরীফের সামনে সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করলেই পুলিশ অনেক তথ্য জানতে পারবে।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁরা লাশের সুরতহাল করেছে। নিহত সজলের বাড়ির পাশে দরবার শরীফের নিরাপত্তার জন্য রাখা সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।

নলছিটি থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ধারালো দা দিয়ে শ্বাসনালি কেটে সজলকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শরীরের আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই।

ঝালকাঠি-নলছিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহামুদ হাসান বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তদন্ত চলছে।