বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল বিশাল তিমি হাঙর

জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশালাকায় তিমি হাঙর বা হোয়েল শার্ক। ছবি সংগৃহীত
জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশালাকায় তিমি হাঙর বা হোয়েল শার্ক। ছবি সংগৃহীত

মাছটি সাধারণত গভীর মহাসাগরে বিচরণ করে। বঙ্গোপসাগরের পানিতে এই মাছ নেই বললেই চলে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চাম্বল ইউনিয়নের বাংলাবাজার ফিশারিঘাটের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৫ মণ ওজনের হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙর।

এটি কী মাছ, তা জানতে ছবিটি পাঠানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম নিয়ামুল নাসেরের কাছে। ছবিটিতে মাছের মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে শরীরের অংশ দেখে অধ্যাপক নাসের বলেন, তাঁর ধারণা এটি হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙর।

মাছটির শরীর ধূসর রঙের। সারা গায়ে ছোট ছোট অসংখ্য সাদা দাগ। মাথা বিশাল ও চ্যাপ্টা আকৃতির। মাথার দুপাশে বড়সড় দুটি ফুলকা রয়েছে। মাছটির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট।

চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী জানান, গন্ডামারা বড়ঘোনা এলাকার মো. রিদোয়ান নামের এক জেলের জালে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছটি ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘মাছটি আগে কখনো দেখিনি। খবর পেয়ে বাংলাবাজার ঘাটে মাছটি দেখতে যাই।’

রিদোয়ান বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছটি ধরা পড়ে। জালে ধরা পড়ার পর মাছটি ট্রলারের সঙ্গে বেঁধে তীরে নিয়ে আসা হয়। তীরে তুলে ট্রাকের সাহায্যে চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গায়ে পচন লাগায় মাছটি বিক্রি করা যায়নি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, মাছটির ওজন ২৫ মণ। এটি হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গভীর মহাসাগরে এই মাছের বাস। বঙ্গোপসাগরে এই মাছ বাস করে না। কীভাবে এই মাছ বঙ্গোপসাগরে এল, সেটি ভাবার বিষয়। তিনি বলেন, এ প্রজাতির মাছের পাখনাগুলোর থাইল্যান্ড, চীনের মতো দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের মানুষ পাখনাগুলো দিয়ে মজাদার স্যুপ তৈরি করে খায়।