শারমিনের মৃত্যু: ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ

রুবাইয়াত শারমিন। ফাইল ছবি
রুবাইয়াত শারমিন। ফাইল ছবি

সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থানে রুবাইয়াত শারমিনের লাশ পড়ে ছিল, এর আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে শারমিনের বন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঘটনার পাঁচ দিন পরও শারমিনের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত গোয়েন্দা (ডিবি) কর্মকর্তারা জানান, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘটনাটি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

ডিবি সূত্র জানায়, শারমিন ঘটনার দিন বিকেলের পর কোনো একসময় আয়েশা কমপ্লেক্সের ছাদে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একা, নাকি অন্য কারও সঙ্গে ছাদে যান, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর তখন কেউ তাঁর সঙ্গে থাকলেও তিনি আবদুর রহমান কি না, সেটি এখনো বের করা যায়নি। আয়েশা কমপ্লেক্সের ছাদে শারমিনের সঙ্গে কে ছিলেন, এই তথ্য জানা গেলে মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসবে। এ জন্য আয়েশা কমপ্লেক্সের আশপাশের ভবন ও সড়কের পাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় লাশের ছবি দেখে শারমিনের (রুম্পা) পরিচয় শনাক্ত করেন। শারমিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ইংরেজিতে স্নাতক করছিলেন। তাঁর বাবা রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক।

সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থান থেকে শারমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়, সেখানে পাশাপাশি তিনটি ভবনের একটি ১২ তলা (আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স)। এর চারতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক (দোকান, বিভিন্ন অফিস) কার্যক্রম চলে। পঞ্চম তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। পুলিশের ধারণা, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে শারমিনকে ফেলে দেওয়া হতে পারে।

শারমিনের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার তাঁর বন্ধু আবদুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে গত রোববার চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া গেছে, তা জানতে চাইলে গোয়েন্দা বিভাগের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শামসুল আরেফিন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেখা যাক, কী তথ্য পাওয়া যায়। চার দিন পর ফলাফল জানা যাবে।

আবদুর রহমানের সঙ্গে শারমিনের সম্পর্ক ও পরে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি কিছুদিন আগে জানতে পারে তাঁর পরিবার।