বিজয় দিবস উদ্যাপন খালেদা জিয়াকে নিয়ে করতে চায় বিএনপি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করতে চায় বিএনপি। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে এটি তাঁর অধিকার। তাঁর জামিনের ব্যাপারে ১২ ডিসেম্বর আর কোনো টালবাহানা করা হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথের দখল নিয়ে বিজয় দিবসের আগে আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনবেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে খুলনায় অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং ‘নিষ্ঠুরতা ও প্রতিহিংসার শিকার’ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলের নগর ও জেলা শাখা যৌথভাবে ওই কর্মসূচি পালন করে।

সমাবেশ শুরুর আগেই নগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশস্থলে হাজির হয়। এ ছাড়া ছাত্রদল ও যুবদলের একাধিক মিছিল যোগ দেয়। সমাবেশস্থলে প্রবেশের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন জোট সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। দেশে এখন যিনি বা যাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেন, তাঁকে বা তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখানো হয়, নির্যাতন চালানো হয়, গ্রেপ্তার করা হয়, গুম করা হয়।

বিএনপি নেতারা বলেন, খালেদা জিয়া একজন বয়োবৃদ্ধ নারী। তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। হঠকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার খালেদা জিয়াকে প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রেখেছে। তিনি মারাত্মক অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। নিষ্ঠুরতা ও প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রায় দুই বছর ধরে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিন লাভের অধিকার মৌলিক মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার। এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর চিকিৎসা প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে দেয়নি। পুনরায় তারিখ পিছিয়ে চলতি মাসের ১২ তারিখ করেছেন আদালত। এই ১২ ডিসেম্বর তাঁকে মুক্তি দেওয়া না হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথের দখল নেবেন।

নগরের কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য দেন জেলা শাখার সভাপতি এস এম শফিকুল আলম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও নগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, বিএনপি নেতা মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মোল্লা মোশারফ হোসেন, তছলিমা খাতুন ছন্দা, মাহবুব হাসান, একরামুল হক, শরিফুল ইসলাম, জাবির আলী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানা।