আওয়ামী লীগে দূষিত রক্ত রাখা হবে না: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে আর দূষিত রক্ত রাখা হবে না। আওয়ামী লীগকে নতুন প্রজন্মের উপযোগী করে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়তে চান শেখ হাসিনা। এ কারণে দলের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান চলছে। দূষিত রক্ত বের করে নতুন রক্তের সঞ্চালন ঘটবে।

আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

বেলা পৌনে তিনটার দিকে ওবায়দুল কাদের জেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। এতে আগের কমিটির সভাপতি সাংসদ আবু জাহিরকে পুনরায় সভাপতি করা হয়েছে। তবে সাধারণ সম্পাদকের পদে পরিবর্তন এসেছে। নতুন কমিটিতে এই পদ পেয়েছেন আগের কমিটির সহসভাপতি আলমগীর চৌধুরী।

সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোট ছাড়া কমিটি ঘোষণা করা। কমিটির ঘোষণার পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। এখন তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে সময়োপযোগী ও আধুনিক দল হিসেবে গড়া তোলা হচ্ছে। সামনে মুজিব দিবস। এ দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে সুবাতাস ছড়াতে চায় আওয়ামী লীগ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) দাবি করেন, বিএনপি নাকি এ দেশের সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার। শুনলে মনে হাসি পায়। আমি হাসব, না কাঁদব, তা ভেবে ভেবে পাই না।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এ দেশের হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন, ধর্ষণ ও বর্বরতা চালিয়েছে, তা একাত্তরের বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়। বিএনপির এ বর্বরতা এ দেশে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ১৯৭৫ সালের পর এ দেশের একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। যে যা–ই বলুক, সামগ্রিকভাবে এ দেশের সংখ্যালঘুরা বর্তমানে অনেক সুখে, শান্তিতে ও ভালোভাবে বসবাস করছে।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ।