৩৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে গেল যমুনা সার কারখানা

৩৭৯ দিন পর আজ বুধবার জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেডে উৎপাদন শুরু হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এত দিন কারখানাটি বন্ধ ছিল। এক বছরের বেশি দীর্ঘ এ সময়ে কারখানার ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খান জাভেদ আনোয়ার আজ প্রথম আলোকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত শেষে ৩৭৯ দিন পর কারখানায় সার উৎপাদনে যাওয়া হয়েছে। তবে তিতাস গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি না করা হলে ফের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যমুনা সার কারখানা কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে ১৯৯১ সালে কারখানায় সার উৎপাদন শুরু করা হয়। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর ভোরে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের কনভারটার হিটারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অ্যামোনিয়া প্রক্রিয়াকরণের প্রধান যন্ত্র প্রি-হিটারের সব কেবল এবং আশপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দেশের বৃহত্তম দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন।

কারখানা বন্ধ থাকায় গত ৩৭৯ দিনে ১০৮০ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৫ টন সার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। দীর্ঘ এ সময়ে কারখানায় ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টন সার উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল।

ডিলারদের কাছে যমুনা প্রতি টন সার বিক্রি করা হয় ১৪ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে প্রতি টন আমদানি করা হয় ৩০ হাজার টাকায়। কারখানায় প্রতি মাসে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যয় হয় ১৩ কোটি টাকা। কারখানা বন্ধ থাকায় ১ হাজার ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বস্তাভর্তি সার মজুত রাখার জন্য কারখানায় দুটি গুদাম রয়েছে। সেগুলোয় ১২ হাজার টন সার মজুত রাখা যায়। কারখানায় বর্তমানে ৩৩ হাজার ৩০০ টন সার মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার টন সার খোলা আকাশের নিচে কারখানার ভেতরে রাস্তায় রাখা হয়েছে।