সিলেটে বিএনপির বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৩

বিক্ষোভের প্রস্তুতিকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন ওরফে সুমন। একপর্যায়ে তিনি ধস্তাধস্তি করে পুলিশের হাত থেকে ছুটে যান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে তোলা ছবি। ছবি: প্রথম আলো
বিক্ষোভের প্রস্তুতিকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন ওরফে সুমন। একপর্যায়ে তিনি ধস্তাধস্তি করে পুলিশের হাত থেকে ছুটে যান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটায় সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে তোলা ছবি। ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ হওয়ায় সিলেটে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে তাৎক্ষণিক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জামিন না হওয়ার খবর পেয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি মিছিল সিলেট কোর্ট পয়েন্ট হয়ে তালতলা এলাকায় যায়। সেখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, আবদুল আহাদ খান প্রমুখ নেতা অংশ নেন। পরে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আরেকটি দল তালতলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা তিনটার দিকে প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অবস্থান।

এর আগে পৌনে দুইটার দিকে কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল করার আগেই কোর্ট পয়েন্টে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। সেখানে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরপরই ছাত্রদলের কয়েকজনকে মিছিল করতে দেখেন। এ সময় ওই স্থানে কর্তব্যরত দুই পুলিশ সদস্য জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেনকে ঝাপটে ধরেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আলতাফ হঠাৎ ফসকে বের হয়ে দৌড় দেন। পুলিশ পিছু পিছু ধাওয়া করেও তাঁকে আর ধরতে পারেনি।

খবর পেয়ে আরেক দল পুলিশ সেখানে গিয়ে আলতাফকে পালাতে সহায়তাকারী ছাত্রদলের একদল কর্মীকে ধাওয়া করে। সেখান থেকে ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। একজনের নাম দেবাশীষ দেব গুপ্ত। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি দুজন ছাত্রদল কর্মী।

বিক্ষোভকারী ছাত্রদলের দুজন নেতা বলেন, তাঁরা মিছিল করার প্রস্তুতির সময় কে বা কারা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে তাঁদের ধাওয়া করে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে পুলিশ ধরে ফেললেও তিনি ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যান।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণ ঘটনার সময় পুলিশ ধাওয়া করে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।