রমনায় বাস ভাঙচুর: যুবদল-ছাত্রদলের সভাপতিসহ ২৬ জনের নামে মামলা

মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি
মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি

রমনা এলাকায় বাস ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রমনা থানার পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, এসব নেতা-কর্মী রাজধানীর রমনা এলাকায় বাস ভাঙচুর ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দিয়েছেন। আট আসামি এখন থানা হেফাজতে রয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বিএনপির আট নেতা–কর্মীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন এসআই ওসমান মাসুম। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তিন আসামির এক দিন করে এবং পাঁচ আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আট আসামি হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাইম, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম, চকবাজার থানা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আবু, কেরানীগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কৌশিক আহমেদ, লালবাগের বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ মন্টু, নিউমার্কেট এলাকার মো. নয়ন, হাজারীবাগ এলাকার সিরাজ ও ভোলার আব্বাস।

আদালতে দেওয়া এক প্রতিবেদনে ওসমান মাসুম বলেন, ১২ ডিসেম্বর রমনা থানার এসআই বিপ্লব কুমার বিশ্বাস রমনা থানা এলাকায় সরকারি লেগুনায় করে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রমনার নাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামের গাড়ির শো রুমের সামনে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির ১৫০ থেকে ২০০ নেতা–কর্মী অতর্কিতভাবে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকেন। তাঁরা পুলিশের গাড়ি ও সোহাগ পরিবহনের দুটি বাসের গ্লাস ও চার-পাঁচটি বাস ভাঙচুর করেন। এমনকি পুলিশের ওপরও হামলা করেন। সেখান থেকে বিএনপির আটজন নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যান।

রমনা থানার এসআই বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বাস ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সেদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচার বিভাগকে চাপে ফেলার জন্য আসামিরা এই ধরনের ঘটনা ঘটান। প্রাথমিক তদন্তে এই আট আসামির জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

মামলার এজাহারে নাম থাকা আসামিরা হলেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, রমনা থানা যুবদলের সভাপতি সাইফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাসুদ খান, সহসভাপতি সহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি বাবুল সরকার, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল চন্দ্র শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছ, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রমনার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রুবেল, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম, ঢাকা মহানগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম, বিএনপির সদস্য নাদিম চৌধুরী, বিএনপির কর্মী আব্বাস, সিরাজ, নয়ন, মন্টু, কৌশিক আহম্মেদ, জসীম ও আবু।