বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অভিযান, ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

দুদক
দুদক

রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংস্থার হটলাইন ১০৬–এ অভিযোগ পেয়ে সহকারী পরিচালক শারিকা ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অভিযান চালায়।

দুদক জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে পেয়িং এবং নন-পেয়িং উভয় ধরনের সিট পাওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের ঘুষ দিতে হয় বলে দুদকে অভিযোগ আসে। এ ছাড়া নন-পেয়িং সিট খালি থাকার পরও রোগীদের বরাদ্দ দেওয়া হয় না। এ জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, নার্স, আয়া, সুইপার, ট্রলিবয়—প্রত্যেককে আলাদাভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে হয়। এটা না দিলে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী ও তাঁর স্বজনদের।

দুদক জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে দুদকের দলটি ছদ্মবেশে হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে দুদকের দলটির একজন সদস্য নিজে রোগীর স্বজন পরিচয়ে হাসপাতালে সিট বুকিং দিতে চাইলে তাঁর কাছে বাড়তি অর্থ চাওয়া হয়। দুদকের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের পরিচালককে ওই পরিস্থিতির কথা জানান। হাসপাতালের পরিচালকের উপস্থিতিতে এক ওয়ার্ডবয়ের কাছে অনৈতিকভাবে উপায়ে অর্জিত টাকা পাওয়া যায়।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ সাহেদুর রহমান খান জরুরি সভার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে মর্মে দুদক দলকে নিশ্চিত করেন। দুদকের পরিদর্শনের সময় যাঁদের সরাসরিভাবে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এ ছাড়া আউটডোর ও ইমারজেন্সিকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসনিক তদারকি জোরদার করা, রোগীদের অভিযোগ নেওয়ার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন দৃশ্যমান স্থানে অভিযোগ বাক্স স্থাপন, টেলিফোন নম্বর প্রদর্শনসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেন।