জামালপুরে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: প্রথম আলো
জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: প্রথম আলো

জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। এতে সব শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছে। পাঁচ বছরেও পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস তৈরি হয়নি। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনে অস্থায়ীভাবে কলেজের কার্যক্রম চলছে। এতে নানা সমস্যায় আছেন শিক্ষার্থীরা। ভালো শ্রেণিকক্ষ নেই, শিক্ষার্থীদের মিলনায়তন নেই, লাইব্রেরি নেই, শিক্ষকদের বসার জায়গা নেই, জনবল নেই, খাওয়া-দাওয়ার ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। নির্মাণাধীন ক্যাম্পাসে একটি ছাত্রাবাস চালু হলেও, সেখানে ভালো পরিবেশ নেই। নির্মাণাধীন ছাত্রাবাস থেকে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার জন্য কোনো বাসের ব্যবস্থা নেই। পাঁচ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া বন্ধ। উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ এবং পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের দাবি করেন। দাবি মানা না হলে, দীর্ঘদিনের জন্য সব ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তাঁরা।

জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এক মাস আগে নতুন এ কলেজে যোগদান করেছি। নতুন কলেজ হিসেবে এখানে নানা রকম সমস্যা রয়েছে। মেয়েদের ছাত্রীনিবাসে যাওয়ার কোনো রাস্তা পর্যন্ত নেই। শিক্ষার্থীদের ভালো লেখাপড়া করার পর্যাপ্ত পরিবেশ নেই। ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষক আছেন। তাঁদের বসার জন্য জায়গা নেই। সবকিছু মিলিয়ে এখানের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’