ভাটারায় পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ৮ জন কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা ও হামলা করার মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাঁদের আজ মঙ্গলবার হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মাসুদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরা সবাই শিবিরের সদস্য বলে জানতে পেরেছেন।

গতকাল সোমবার ভাটারা এলাকায় পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, গতকাল সকালে জানতে পারেন, ভাটারার কোকাকোলা মোড়ের প্রগতি সরণির পূর্ব পাশের রাস্তায় কতিপয় জামায়াত-শিবিরের দুষ্কৃতকারীরা জড়ো হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসার পর জামায়াত-শিবিরের দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট-পাটকেলসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ভাটারা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম, এএসআই জিয়াউল হক, এএসআই আতোয়ার রহমান ও কনস্টেবল আবেদ আলী জখম হন। তখন দুষ্কৃতকারী আটজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পালিয়ে যান আরও ৭০ থেকে ৮০ জন দুষ্কৃতকারী। তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, তদন্তকালে জানা যায়, আসামিরা সবাই জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী।

গ্রেপ্তার আটজন হলেন, কুড়িগ্রামের খোরশেদ আলম (২৬), চাঁদপুরের রাশেদ (২৩), নেত্রকোনার জুবায়ের আহম্মেদ (২০), কক্সবাজারের ফয়সাল মাহমুদ (২০), বাড্ডার ইব্রাহীম (১৮), জামিল হোসেন (২০), রাকিব হোসেন (১৮) ও বনানীর মোমেন হোসেন (১৮)।