'সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকারীদের প্ররোচনায় বাবার নাম রাজাকারের তালিকায়'

সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গৌতম চন্দ্র পাল। ছবিটি আজ বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাব থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো
সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গৌতম চন্দ্র পাল। ছবিটি আজ বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাব থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে গৌতম চন্দ্র পাল। আজ বুধবার বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, যাদের সঙ্গে তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে তাদের প্ররোচনায় তাঁর বাবার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিমল কৃষ্ণ পালের ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় বরিশাল সদরের (দক্ষিণ) ২৬ নম্বর ক্রমিকে তাঁর বাবার নাম আছে। দুরভিসন্ধিমূলকভাবে রাজাকারের তালিকায় এই নাম অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার অনুমান যাদের সঙ্গে আমার পরিবারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলছে, তাদের প্ররোচনায় আমার বাবার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমার ঠাকুর দাদা নকুল চন্দ্র পালকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ বাড়ির সামনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর মরদেহ পাশের খালে ফেলে দেয়। আমাদের বাড়ির কয়েকটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং অবশিষ্ট ঘর ভেঙে পাকিস্তানি বাহিনী গাড়িতে করে বরিশাল নিয়ে যায়। সে সময় আমার বাবা ক্যাডেট কলেজের নিকটবর্তী কালভার্টের ওপর আবদুল ওহাব খানের উপস্থিতিতে একযোগে আক্রমণ করে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার সাক্ষী আমার মা বকুল রানি পাল ও দিদি লীলা রানি দত্তসহ পরিবারের সদস্যরা। এ কারণে যেখানে আমাদের শহীদ পরিবারের মর্যাদা পাওয়ার কথা, সেখানে উল্টো আমার বাবা বিমল কৃষ্ণ পালের নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমার বাবা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এই অঞ্চলের বেস কমান্ডার আবদুল ওহাব খানের সার্বক্ষণিক যুদ্ধ সহচর।’

গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, তিনি ১৫ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে আছেন। সদ্য প্রকাশিত ওই তালিকায় তাঁর বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কারণে সামাজিকভাবে তিনি অপমানিত বোধ করছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কারণ স্বার্থান্বেষী মহল এটিকে পুঁজি করে তাদের পরিবারের সঙ্গে খারাপ কোনো কাজ করতে পারেন বলে তাঁর আশঙ্কা।