কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরেকজন মারা গেলেন

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরও এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১ জন মারা গেলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল প্রথম আলোকে জানান, মফিজুলের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এখনো দগ্ধ তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরাও আশঙ্কামুক্ত নন।

ময়নাতদন্তের জন্য মফিজুলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি সপরিবারে পুরান ঢাকার বংশালের আরমানিটোলা গোবিন্দ দাস লেনে থাকতেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানার সোনাকান্দা গ্রামে।

১১ ডিসেম্বর বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার হিজলতলার প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানায় আগুন লাগে। একজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় কারখানার মালিক নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। কিন্তু সাত দিন পার হলেও নজরুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।