গ্রেপ্তারের পর আসামি ছিনতাই, আহত দুই পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের কাছ থেকে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তিতে পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হন।

ছিনতাই করা আসামির নাম জাবের আলী (৪৫)। বাড়ি বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামে। তিনি মারধর ও ভাঙচুর মামলার আসামি। এক নারী বাদী হয়ে সপ্তাহখানেক আগে মামলাটি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারধরের ঘটনায় করা মামলার আসামি জাবের আলীকে গ্রেপ্তারে বাগমারা থানার একজন পরিদর্শক ও একজন সহকারী উপপরিদর্শককে নিয়ে উপজেলার জ্যোতিগঞ্জ বাজারে যান। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জাবেরকে মোটরসাইকেলে করে থানায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ছেড়ে দিতে পুলিশের প্রতি চাপ প্রয়োগ করেন তাঁর সহযোগীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের কাছ থেকে জাবের আলীকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশলেম আলী আহত হন। পরে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ বলেন, জাবের আলী নিয়মিত মামলার আসামি। পাশের বীরকয়া গ্রামের মোবারক হোসেনকে মারধর করার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী নাজমা বিবি মামলা করেছেন। তিনি পলাতক থেকে লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জাবের আলী এলাকার ত্রাস। বিভিন্ন ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিল। আসামি জাবের আলী ও তাঁর দুজন সহযোগীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, পলাতক আসামি জাবের আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ তাঁকে ধরতে কাজ করছে। তবে ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষে এখনো কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।