প্রতিবন্ধীদের তৈরি পণ্যের পসরা

রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে  প্রতিবন্ধী উন্নয়ন মেলা। ১০ ডিসেম্বর মেলা শুরু হয়।  ডি আর এ নামের একটি স্কুলে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন মেলা। ১০ ডিসেম্বর মেলা শুরু হয়। ডি আর এ নামের একটি স্কুলে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরে আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন মেলা। ১০ ডিসেম্বর মেলা শুরু হয়। ডি আর এ নামের একটি স্কুলে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীরা নিয়ে এসেছিলেন বিভিন্ন পণ্যের পসরা। ছিল পিঠা, আচারের মতো হাতে তৈরি পণ্য, মাশরুম।

সাইমা আক্তার বসেছিলেন ডি.আর.এর স্টলে। প্রতি বছরেই এই মেলায় অংশ নেন তিনি। তাঁদের স্টলে আছে পিঠা, আচার, তোয়ালে ব্যাগসহ অনেক কিছু। এগুলো সবই প্রতিবন্ধীদের নিজের হাতের তৈরি। সাইমা বলেন, তাঁদের স্কুলের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাই এসব তৈরি করেছেন।

আলোর ছায়া স্টলের উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান ও তাঁর সহযোগী মতিন। তাঁরা দুজনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তাঁদের একটি জুতো কোম্পানি রয়েছে। তাঁরা প্রতিবছরেই এই মেলায় স্টলের আয়োজন করে। তাঁদের সহযোগিতা করে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল নামে বেসরকারি একটি সংস্থা। স্টলে ৩ জন প্রতিবন্ধী কাজ করেন।

হুমাইরা বিসক্যাম অনলাইন শপের উদ্যোক্তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. হাবিবুর রহমান। মাধ্যমিক পাস করার পরই তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে যান। ২০১২ সালে ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনার চেষ্টা করেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে পেরে ওঠেননি। পরে মাত্র ১ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন হাবিবুর। সেখান থেকে সাফল্য অর্জন করেন। এখন তাঁর মাশরুমের খামার আছে। নিজেই তিনি সেটি পরিচালনা করেন। বর্তমানে তিনি দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। সেগুলো হলো, হুমায়রা মাশরুম খামার ও হুমায়রা অনলাইন শপ।

হাবিবুর বলেন, কাঠের গুঁড়া, আখের ছোবড়া, ধানের খড় ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে ড্রামের ভেতর রেখে দিলে এক মাস পরেই মাশরুম সবজিতে রূপান্তরিত হয়। মাশরুম উৎপাদনের জন্য বেশি জমির প্রয়োজন হয় না।

এরপর কথা হয় সালমা বুটিং স্টলে। সালমা বলেন, তাঁরা প্রত্যেক বছর এই মেলায় স্টল দিয়ে থাকেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও তাঁদের বিক্রির পরিমাণ ভালো। তাঁর দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা, আচার, কাপড়ের ওপরে বিভিন্ন সুতা দিয়ে তৈরি নকশা ও ব্যাগ আছে। প্রতিবন্ধীরা নিজের হাতে এসব তৈরি করেন। তাঁদের প্রতিষ্ঠান সাভারে। এখানে সব ধরনের প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা হয়। এখানে মোট ৮৫ জন প্রতিবন্ধী রয়েছে।

নাজিয়া হোসেন: প্রথম আলোর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিক।