নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেক প্রদান

গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা এলাকায় অবস্থিত রওজা হাইটেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড। ফাইল ছবি
গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা এলাকায় অবস্থিত রওজা হাইটেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড। ফাইল ছবি

গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতায় লাক্সারি ফ্যান কারখানায় নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কারখানার হেড অব সেলস অফিসার শফিকুর রহমান নিহত ১০শ্রমিককের পরিবারের সদস্যদের হাতে ওই চেক তুলে দেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফ্যান কারখানার অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মার্তা এলাকার নবীজ উদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন (২২), একই উপজেলার মার্তা হাতানিপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ (৩২), গাজীপুর সদর উপজেলার কালনি এলাকার সাইফুল খানের ছেলে ফয়সাল খান (২১), একই উপজেলার কেশরিতা এলাকার বীরবল দাসের ছেলে উত্তম দাস (২৬), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আতারকুল এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মো. পারভেজ (২৫), রংপুরের তাইজুদ্দিনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন (১৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকার মোরশেদ মিয়ার ছেলে ইউছুব মিয়া (২৪), নরসিংদীর বেলাব থানার চর কাশিনগর এলাকার মাজু মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২০), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার দাউদকান্দি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে লিমন হোসেন (২২) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার রাঘবপুর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০)।

এর আগে লাশ দাফনের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সার্বিক সহায়তাদানেরও প্রতিশ্রুতি দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানার হেড অব সেলস মো. শফিকুর রহমান জানান, প্রতি মাসে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার প্রতি ১০হাজার টাকা ও উৎসব বোনাস দেওয়া হবে।একই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের যোগ্য ও কর্মক্ষম প্রতিনিধিকে চাকরি দেওয়া হবে এবং সন্তানদের লেখাপড়ার খরচও দেওয়া হবে।

কারখানার অনুমোদন ও অনুমতির সব কাগজপত্র থাকার দাবি করে তিনি জানান, ঘটনার পর পর তাদের মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তা কর্তৃপক্ষকে দেখাতে পারেননি।

নিহত শ্রমিক রাশেদের বাবা কামাল হোসেন জানান, তিনি অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

নিহত তরিকুলের বাবা মো. সেলিম জানান, তিনি অন্যের জমি বর্গায় কৃষি কাজ করেন। তিনি ছাড়া তাঁর একমাত্র ছেলে সংসারের উপার্জনক্ষম ছিল। তাঁর মৃত্যুতে এক বস্তা টাকা দিলেও ক্ষতিপূরণ সম্ভব হবে না।

নিহত ইউসুফ আলীর স্ত্রী হাজেরা জানান, হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। যিনি গেছেন তিনিতো গেছেন। তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর ও সন্তানের ভরণপোষণের দাবি জানিয়েছেন ।

 আরও পড়ুন: