বড়দিন উপলক্ষে ডিএমপির তিন স্তরের নিরাপত্তা

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) উপলক্ষে রাজধানীর সব গির্জাকে (চার্চ) বড়, মাঝারি ও ছোট—এই তিন স্তরে বিভক্ত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মানুরাগীরা যাতে বড়দিনের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে উদ্‌যাপন করতে পারেন সে জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিএমপি নিউজে বলা হয়, প্রত্যেকটি চার্চের নিরাপত্তায় ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। দর্শনার্থীদের আর্চওয়ে দিয়ে চার্চে ঢুকতে হবে। এ ছাড়া মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও সবার শরীর তল্লাশি করা হবে। হাত ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, পোঁটলা, দাহ্য পদার্থ, ছুরি, অস্ত্র, কাঁচি, ক্ষতিকারক তরল, ব্লেড, দেশলাই, গ্যাসলাইট সঙ্গে নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না। চার্চ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রতিটি চার্চে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা স্থাপনা করে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। নারী স্বেচ্ছাসেবকেরা নারী দর্শনার্থীদের তল্লাশি করবেন। চার্চ ও আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখা গেলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করতে বলেছে ডিএমপি। জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এ কল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। প্রস্তুত রাখা হবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে । চার্চ এলাকায় যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। চার্চের আশপাশে কোনো ধরনের ভাসমান দোকান ও হকার বসতে দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং প্রতিরোধে চার্চ ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের বিশেষ দল কাজ করবে।

বড়দিনের অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদের পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি সম্পর্কে সতর্ক হয়ে চলাচল করতে অনুরোধ করছে ডিএমপি।