আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে বিএনপি শিখবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর

হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে বিএনপি শিখবে এবং যে দুর্বৃত্ত চক্রে বিএনপির রাজনীতি আটকা পড়েছে, সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসবে।’

রাজধানীর শাহবাগে আজ রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন বর্ষীয়ান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, সেই ধারা অক্ষুণ্ন রেখেছিল এরশাদ সাহেব এবং বেগম জিয়া তা ষোলোকলায় পূর্ণ করেছে। সেই ধারা থেকে রাজনীতিকে উদ্ধার করে, রাজনীতি যে একটি ব্রত, তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে বিএনপির অনেক শেখার আছে—এমন মন্তব্য করে দলের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নিয়মিত সম্মেলন হয়, বিএনপিতে কি সম্মেলন হয়! এক কলমের খোঁচায় সেখানে সদস্য হয়, বাদও যায়। বিএনপির চেয়ারপারসনের কতজন উপদেষ্টা আছে, মির্জা ফখরুল সাহেবও তা বলতে পারবেন না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সম্মেলনের একটি ঘোষণাপত্র থাকে, এই সম্মেলনেরও আছে। সেখানে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, জাতিকে আমরা কোন লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে চাই—সব রয়েছে। বিএনপিতে তো এই চর্চা নেই, এ জন্য তারা জানে না। ফখরুল সাহেব চাইলে আমি ঘোষণাপত্রের একটি কপি পাঠিয়ে দিতে পারি।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানেই নবীন-প্রবীণের মিলিত রক্তস্রোত সঞ্চালন। এবারও তা হয়েছে। আর পরিবর্তনই যে হতে হবে, এমন তো কথা নেই। যাঁরা ভালো কাজ করছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সভাপতি তাঁকে সে কাজে রাখতেই পারেন।’

এর আগে আজ বিকেলে হাছান মাহমুদ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন চলচ্চিত্র অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানকে দেখতে যান। তিনি বিএসএমএমইউ কেবিন ব্লকের ৫১১ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন এ টি এম শামসুজ্জামানের পাশে কিছুক্ষণ থাকেন এবং তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় সংগীতশিল্পী মো. রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অভিনয়শিল্পী তারিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক পবিত্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ টি এম শামসুজ্জামান তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও তাঁর চিকিৎসার জন্য সবকিছু করেছেন, এখনো করবেন। তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে দেখতে।’