নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রের লাশ মিলল মাছের খামারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী সদর উপজেলা থেকে নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নোয়াখালী ইউনিয়নের ৯২ শল্লা এলাকার একটি মাছের খামার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মাদ্রাসাছাত্রের নাম আরমান হোসেন (১১)। সে মান্নাননগর মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও মাদ্রাসাছাত্রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে এওজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে মান্নাননগর বাজারে আসে আরমান। কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরেনি সে। ছেলের খোঁজ না পেয়ে আরমানের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সুধারাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু আরমানের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। সোমবার বিকেলে নোয়াখালী ইউনিয়নের ৯২ শল্লা এলাকার একটি মাছের খামারের পানিতে একটি শিশুর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে আরমানের বাবা রফিকুল সেখানে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

নিহত আরমানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আরমান একাই সব সময় মান্নাননগর বাজারে যেত। বাড়িও ফিরত একাই। কারা কী কারণে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিয়তোষ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি কয়েকদিন আগের। পানিতে থাকায় লাশ অনেকটাই পঁচে গেছে। লাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে না শিশুটিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত বলা যাবে। মঙ্গলবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক তাঁকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।